Save Kutubdia
25/06/2009 00:51
কুতুবদিয়া দ্বীপ বাঁচাতে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী হামিদুর রহমান আযাদ এমপি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়াবাসীদের কাছে জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ পৌছানো এবং কুতুবদিয়া দ্বীপ বাঁচাতে স্থায়ী ও টেকসই বহুমাত্রিক বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী জানান।
হামিদ আযাদ বলেন, বার বার ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়াবাসী আজ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। কুতুবদিয়াকে রক্ষা করতে হলে স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি সাগরের লোনা পানির থেকে আগামী আমন মওসুমের ফসল রক্ষার জন্য বর্ষার আগেই দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্যও তিনি পরামর্শ দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও উত্তর ধুরং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ চৌধুরী, বড়ঘোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাকের উল্লা্হ, কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সচিব ও কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.কে লিটন প্রমুখ।
ঘূণিঝড় আইলায় কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেন, প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেংগে ১৪ টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন জোয়ারের লবণাক্ত পানি এলাকার ঢুকে ব্যাপক ফসলহানি ঘটছে। নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে জনদুর্ভোগ দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। লবনাক্ত পানি ব্যবহার করতে না পারায় খাবার পানিসহ ব্যবহারিক পানিরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে । যে সব কারণে কুতুবদিয়া রক্ষা করা অতি প্রয়োজন তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই কুতুবদিয়াকে রক্ষা করতে হবে। এ দ্বীপের অস্তিত্ব বিলীন হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো দেশের ওপর।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়াবাসীর কাছে এখনো কোন ত্রাণ পৌছেনি। আপনি উপদ্রুত এলাকায় এলে স্বচোখে দুর্গত মানুষের দুঃখ দুর্দশা ও করুণ চিত্র দেখতে পাবেন। দীর্ঘ মেয়াদী স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাঁধ গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করে হামিদুর রহমান আযাদ উপকুলীয় ১৯ জেলার জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনেরও দাবী জানান।
লিখিত বক্তব্যে আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, আইলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ৯৯৩ টি বাড়ি এবং ৫৩২৫ টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২৪৩৭ হেক্টর জমির প্রায় অর্ধকোটি টাকার ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে। ৩৯৭৫ একর জমির প্রায় ১৯ লাখ টাকার লবণ নষ্ট হয়েছে। ২২ টি নৌকা ও ট্রলারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২২ লাখ টাকা। ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩০ টি মসজিদ ও ১০ টি মন্দির বিধ্বস্ত হয়েছে।
Tags:
———
Back