www.kutubdia.tk

Welcome To Kutubdianews Webpage, Only News Portal From Kutubdia Island. Keep Visiting To Know More About Kutubdia.

কুতুবদিয়ার প্রতি মুহূর্তের খবর জানতে ক্লিক করুনঃ কুতুবদিয়া নিউজ ডট কম

 

দ্বীপ কুতুবদিয়ার ইতিহাস,ঐতিহ্য,চাওয়া-পাওয়া,দৈনন্দিন ঘটনা প্রবাহ ইত্যাদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রয়াসে এই ওয়েবসাইটের পথচলা শুরু হয় ২৯ শে এপ্রিল,২০০৮ সালে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

দৈনিক প্রথম আলো ১৩/১০/২০১২ইং সংখ্যায় কুতুবদিয়া ওয়েবসাইটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

***আপনি যদি কুতুবদিয়া ওয়েবসাইটে কুতুবদিয়ার প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন খবরা-খবর,তথ্য ইত্যাদি দিয়ে ওয়েবসাইট আপডেট রাখতে আগ্রহী হোন, তাহলে এখানে ক্লিক করে কুতুবদিয়া ওয়েবের সদস্য হতে পারেন। আপনার মতামত জানাতে ক্লিক করুন এখানে।

***এই ওয়েবসাইটের কোন ছবি,লিখা,তথ্য ইত্যাদি যদি কেউ ফেইসবুক বা অন্য কোথাও শেয়ার করেন,তাহলে দয়া করে ওয়েবসাইটের লিঙ্ক উল্লেখ করবেন।

Admin

কুতুবদিয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

কুতুবদিয়ার প্রতি মুহূর্তের খবর জানতে ক্লিক করুনঃ কুতুবদিয়া নিউজ ডট কম

Ø     দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়া দ্বীপের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলেও এ দ্বীপ সমুদ্র বক্ষ থেকে জেগে উঠে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ দ্বীপে মানুষের পদচারণা। হযরত কুতুবুদ্দীন নামে এক কামেল ব্যক্তি আলী আকবর, আলী ফকির, এক হাতিয়া সহ কিছু সঙ্গী নিয়ে মগ পর্তুগীজ বিতাড়িত করে এ দ্বীপে আস্তানা স্থাপন করেন। অন্যদিকে আরাকান থেকে পলায়নরত মুসলমানেরা চট্টগ্রামের আশেপাশের অঞ্চল থেকে ভাগ্যাণ্বেষণে উক্ত দ্বীপে আসতে থাকে। জরিপ করে দেখা যায়, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া, চকরিয়া অঞ্চল থেকে অধিকাংশ আদিপুরুষের আগমন। নির্যাতিত মুসলমানেরা কুতুবুদ্দীনের প্রতি শ্রদ্ধান্তরে কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরন করেন কুতুবুদ্দীনের দিয়া, পরবর্তীতে ইহা কুতুবদিয়া নামে স্বীকৃতি লাভ করে। দ্বীপকে স্থানীয়ভাবে দিয়া বা ডিয়া বলা হয়।

কুতুবদিয়ার দর্শনীয় স্থানসমূহ

কুতুবদিয়ার প্রতি মুহূর্তের খবর জানতে ক্লিক করুনঃ কুতুবদিয়া নিউজ ডট কম

০১। কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতঃ

কুতুবদিয়া উপজেলার পশ্চিম পার্শ্বে উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ২০ কিঃমিঃ সমুদ্র সৈকত এর সৌন্দর্য্য যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। সৈকতের সারি সারি ঝাউবাগান আর সমুদ্রের ঢেউ এর নয়নাভিরাম দৃশ্যে যে কেউ খুব সহজেই আকৃষ্ট হবে। বিশেষ করে সৌন্দর্য্য পিপাসুখুব সহজেই আকৃষ্ট হবেন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটলে এ সমুদ্র সৈকতটিও হতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশের এই সমুদ্র সৈকতে  দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা গেলে এ পর্যটন কেন্দ্র হতে বিপুল পরিমাণ বেদেশী অর্থ আয় করা সম্ভব হবে। কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে প্রাকৃতিক গ্যাস এর সন্ধ্যান পাওয়া গেছে।

এক কথায়, কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত এবং এতে বেড়ে উঠা বিভিন্ন আকৃতির ঝাউগাছের সারি সত্যিই যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যথেষ্ট।

০২। বাতিঘরঃ

প্রাচীন কাল হতে কুতুবদিয়া বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত। দূর সমুদ্রের মাছ ধরার নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চ গুলোকে রাতের আঁধারে পথ প্রদর্শনের জন্য ১৮৪৬ সালে এ বাতিঘর নির্মিত হয়। রাতের আঁধারে যে সকল নৌকা মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে গমন করতো সে সকল নৌকাকে তীর প্রদর্শন করে স্থলে ভেঁড়ানোর কাজে এ বাতিঘরের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানে পূরাতন বাতিঘরটি সম্পূর্ণরুপে সমুদ্রগর্ভে বিলিন হয়ে গিয়েছে। নতুন একটি বাতিঘর এর স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। এ বাতিঘরটির আলো সমুদ্রের ৪০-৪৫ কিঃমিঃ দূর হতে দেখা যায়। আর এ আলোর সাহায্যেই রাতের আঁধারে পথ হারানো নৌকাগুলো পথ খুঁজে পায়। ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে এ বাতিঘরটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কুতুবদিয়ায় আগমনকারী কোন পর্যটকই এ বাতিঘরটি দেখার লোভ সম্ভরণ করতে পারে না।

এক কথায়, দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন কুতুবদিয়া বাতিঘর এর সৌন্দর্য্য কুতুবদিয়াকে বহুলাংশে আকর্ষণীয় করে তোলে।

০৩। দরবার শরীফঃ

কুতুবদিয়ার দর্শনীয় স্থানসমুহের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত সাধক শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী মুহীউদ্দিন আজমীর মাজার ও দরবার শরীফ। গাউছে মুখতার হযরত শাহ আব্দুল মালেক (রাঃ) ছিলেন উপমহাদেশের প্রচার বিমুখ এক মহান আদ্যাত্মিক সাধক। তিঁনি আধ্যাত্মিক প্রতিভাবলে ও বিশ্বলোকে গণ মানুষের মানস পটে চির অম্লান হয়ে আছেন। গাউছে মুখতার, মুজাদ্দীদে জামান হযরতুল আল্লামা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী মুহীউদ্দিন আজমী ১৯১১ ইংরেজী ২১শে জুলাই শ্রাবন মাসের প্রথম জুমাবার নিজ পিত্রালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। এই মর্যাদাবান বুজুর্গ পরিবার কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধূরং গ্রামে অবস্থিত। তাঁর মহিমাময় পিতা হজরত হাফেজ শামসুদ্দীন আল কুতুবী (রাঃ) বড় হাফেজ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি নিজ বাড়িতেই হেফজখানা প্রতিষ্টা করেন এবং দূর দূরান্ত থেকে ছাত্রগণ এখানে এসে কোরআন শরীফ হেফজ করতেন এবং উৎকর্ষ অন্তর নিয়ে ফিরতেন। তাঁর রহস্যময়ী সান্নিধ্য বালবিক দূর্বলতা বিমোচনে কার্যকরী ছিল। ৬২ বছর বয়সে অর্থাৎ ১৯৮২ সালের ১৭ই নভেম্বর রোজ বুধবার তিনি ইন্তেকাল করেন।

উপমহাদেশের খ্যাতনামা আধ্যাতিক সাধক মালেক শাহ অন্তিম শয়নে শায়িত হন ২০০০ সালের ১৯ই ফেব্রুয়ারী। তাঁর প্রথম নামেজে জানযা অনুষ্টিত হয় চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ্য প্যারেড মাঠে সকাল ১০ টায় রোজ রবিবার। হালিশহরের পীর হযরত মাওলানা ইসমাইলের ইমামতিতে তাঁর এই নামাজে জানাযা চট্টগ্রামে স্মরণকালের বৃহত্তম নামাজে জানাযা হিসেবে আজও স্বীকৃত। দ্বিতীয় নামাজে জানাযাও একই জায়গায় অনুষ্টিত হয়।

দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য বিষয়াবলীঃ

 

০১। বিদ্যুৎ সমস্যা সংক্রান্তঃ

কুতুবদিয়া উপজেলা একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা। এ উপজেলায় ৫০০ কেঃভিঃ বিশিষ্ট দুইটি অতি পুরাতন জেনারেটরের মাধ্যমে সাময়িকভাবে (সন্ধ্যা হতে রাত ১০.৩০ মিঃ পর্যন্ত) বিদ্যুৎ সর্বরাহ করা হয়ে থাকে। ৫ টি ট্রান্সফরমার আবশ্যক হলেও ২ টি পুরানো ট্রান্সফরমার দিয়েই বর্তমানে শুধুমাত্র উপজেলা সদরে সামান্য কিছু অংশে বিদ্যুৎ সর্বরাহ করা হচ্ছে। ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেলে এ উপজেলায় বিদ্যুৎ সর্বরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ এর অভাবে অতি শীঘ্র সমাপ্ত হওয়া ৫০০ সংখ্যাবিশিষ্ট ডিজিটাল টেলিফোন ব্যবহারে ব্যাঘাত ঘটছে। বিদ্যুৎ না থাকায় আবহাওয়া বার্তা যথাযথভাবে গ্রহণ ও প্রেরণে বিঘ্ন ঘটে। নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ থাকলে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সংগ্রহকৃত মাছ সংগ্রহে রাখা যেত। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ এর অভাবে মাছ সংগ্রহ করতে হয় কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে। ফলে কুতুবদিয়াবাসী অনেক সময় মাছ সংকটে ভুগছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ এর অভাবে সম্ভাবনাময় এ উপজেলায় লবণ শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কেন্দ্রীয় সচিবালয়, বিউবো, ওয়াপদা ভবন (২য় তলা), মতিঝিল বা/এ, ঢাকা এর স্মারক নং- ৩১৫ বিউবো (সচি)/ উন্নয়ন/১৮১/২০০৭, তারিখঃ ১৫/০৪/২০০৭ ইং মূলে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সংকট নিরসনকল্পে বায়ুশক্তি চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প গ্রহন করা হয়। ইতোমধ্যে বিউবো ও M/s Pan Asia Power Services Ltd. Dhaka এর সাথে চুক্তিবদ্ধ্য হয়ে প্রকল্পটি সম্পাদন করা হয়। আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি স্থাপন করা হয়। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল প্রায় ৩০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্প থেকে একটানা ২০ বছর ১২০০ পরিবারকে বিদ্যুৎ সর্বরাহ করা হবে। কিন্তু উদ্ভূদনের ২ মাস যেতে না যেতেই এটি অচল হয়ে পড়ে। বলা হয়, একটি যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সর্বরাহ করা যাচ্ছে না। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এ বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এর খুঠিতে প্রতিনিয়ত আঘাত হানতে পারে। এখন তাই হচ্ছে, ফলে এটি এখন হুমকির সম্মুখিন। এছাড়া, কুতুবদিয়ার উত্তর প্রান্তের সাথে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর দূরত্ব মাত্র ২.৫ কিঃমিঃ (প্রায়)। বাঁশখালী হতে সাবমেরিন ক্যাবল এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় জাতীয় গ্রীড হতে বিদ্যুৎ সর্বরাহ করা সম্ভব। পূর্বে এ নিয়ে অনেক উদ্যোগ নেয়া হলেও কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয় নি।

বিদ্যুৎ সমস্যার মতো আরেকটি প্রধান সমস্যা হলো যাতায়াত ব্যবস্থা। কুতুবদিয়ার সাথে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা যুগোপযোগী হতো তবে কুতুবদিয়া পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় ঠাই পেত। শহুরে মানুষ সাধারনত সমুদ্র ভয় পায়, আবার প্রচন্ড ভালোবাসে। কিন্তু কুতুবদিয়া দ্বীপে যাওয়ার একটাই পথ আর তা হচ্ছে সমুদ্রপথ।

০২। কুতুবদিয়া চ্যানেলে ব্রীজ নির্মাণ সংক্রান্তঃ

দ্বীপ উপজেলা হিসেবে কুতুবদিয়ার সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার দূর্গমতা কুতুবদিয়ার সামগ্রীক উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়। কুতুবদিয়া থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছোট ছোট ডেনিশ বোট ও দুটি স্পীড বোট। কিন্তু স্পীট বোটের যাতায়াত খরচ বেশি হওয়ায় দ্বীপবাসী সহ যারা কুতুবদিয়ায় আসা-যাওয়া করে তারা সবাই ওই ডেনিশ বোটে করেই যায়। কুতুবদিয়া চ্যানেলটি ডেনিশ বোটে অতিক্রম করতে সময় লাগে ৪০-৪৫ মিনিটের মতো, যা খুবই বিরক্তিকর। শুষ্ক মৌসুমে যাতায়াত কিছুটা সহজ হলেও বর্ষা মৌসুমে লোকজনকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চ্যানেলটি পারাপার করতে হয়।কুতুবদিয়া উপজেলার

০৩। হাসপাতাল সংক্রান্তঃ

কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও তা দ্বীপের জনসংখ্যা অনুযায়ী যথাযথ নয়। কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্সে গড়ে ৫০০ জন রোগী আসে যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। প্রায় দেড় লক্ষ অধিবাসীর কুতুবদিয়ায় হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী শয্যা বৃদ্ধিকল্পে সিএমএমইউ কক্সবাজারের সহযোগীতা ও প্রত্যক্ষ তদারকী প্রয়োজন।এছাড়া, কুতুবদিয়া হাসপাতালে একটি এম্বুলেন্স ছিল, এখনো আছে কিন্তু সেটা শুধু শো-পিচ হিসেবে। প্রায় কয়েক বছর ধরে এটি অচলাবস্থায় পড়ে আছে। এখন পুরোপুরি নষ্ট। এম্বুলেন্সের অভাবে মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়া করতে হয় দোলনার সাহায্যে কাঁধে বহন করে যা ২১শ শতাব্দীর এই সভ্য সমাজের জন্য একটি লজ্জাজনক বিষয়। মুমূর্ষ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে আনা-নেওয়া করতে না পারায় রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। আরেকটি প্রধান সমস্যা যা জীবনের সাথে সরাসরী সম্পৃক্ত তা হলো, এই হাসপাতালে কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই বললেই চলে। তাছাড়া অপারেশন থিয়েটারটিও বছরের পর বছর ধরে অকার্যকর পড়ে আছে। ফলে, মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে নিয়ে আসতে হয়। এতে দীর্ঘ নদী পথ পাড়ি দিতেই অনেক সময় রোগী মৃত্যু বরণ করেন। কুতুবদিয়াবাসীর এই চরম অবহেলা কি কখনোই দৃষ্টিগোচর হবে না?

০৪। টিএন্ডটি সংক্রান্তঃ

অতি সম্প্রতি কুতুবদিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড এর অধীনে উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টারে টেলিফোন সংযোগ প্রকল্পের আওতায় কুতুবদিয়া উপজেলায় ৫০০ লাইনের ডিজিটাল টেলিফোন সংযোগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল স্থাপনের কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু কুতুবদিয়ার সিংহ ভাগ মানুষ টেলিফোন সংযোগ থেকে বঞ্চিত। তাই একমাত্র মোবাইল ফোনই দ্বীপবাসীর আশার আলো হয়ে আছে। ফলে, দূরালাপনীর প্রায় সব টাকাই যাচ্ছে ওই বিদেশী কোম্পানীদের পকেটে।

০৫। শিল্প কলা একাডেমী সংক্রান্তঃ

শিশু-কিশোরদের সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা ও প্রতিভা বিকাশের জন্য শিল্পকলা একাডেমী বা শিশু একাডেমীর স্থায়ী কোন অবকাঠামো এবং সুযোগ সুবিধা কুতুবদিয়া উপজেলায় নেই। ফলে, সচেতন মা-বাবারা এখন সন্তানদের মানুষ করার নামে কুতুবদিয়া ছেড়ে শহরমুখী হয়ে পড়েছে। এটা এখন এত প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, স্বচ্ছল পিতা-মাতারা তাদের সন্তানদের নিয়ে স্ব-পরিবারে শহরের যান্ত্রিকতাময় পরিবেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তাই, শিশুর মেধা ও মনণ বিকাশে সহায়তা করার জন্য দ্বীপে যত দ্রুত সম্ভব একটি শিল্পকলা একাডেমী স্থাপন করা প্রয়োজন।

৬।ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন সংক্রান্তঃ

কুতুবদিয়ায় কোন ফায়ারসার্ভিস ষ্টেশন নেই। কুতুবদিয়া চ্যানেল কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে দূর্গম হওয়ার কারণে পার্শ্ববর্তী উপজেলার কোন ষ্টেশন থেকে সার্ভিস পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে, কুতুবদিয়ায় বড় ধরণের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে তা নেভানোর কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় না। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ পুড়ে ভষ্ম হয়ে যায়।তাই এ এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন জরুরী।

৭। গভীর সমুদ্র বন্দরঃ

পর্যাপ্ত গভীরতা সমুদ্র বন্দর স্থাপনের অন্যতম পূর্বশর্ত। এ দিক থেকে কুতুবদিয়াকে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের আদর্শ স্থান বলা যায়। এ নিয়ে কয়েক বছর ধরে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। পত্র-পত্রিকায় লিখালিখি হয়েছে। কারণ কুতুবদিয়া চ্যানেল গভীর ও খরস্রোতা হওয়ায় এবং পলি কম হওয়ায় বড়-ছোট জাহাজ সহজে চলাচল করতে পারবে এবং কুলে ভিড়তে পারবে। কুতুবদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপিত হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

৮। উপজেলা পরিষদ জীপগাড়ী সংক্রান্ত তথ্যঃ

উপজেলা পরিষদের জীপগাড়ীটি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহারে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা না হলে যে কোন সময় অচল হয়ে যেতে পারে, যা উপজেলার প্রটোকল ও মাঠ পরিদর্শনে সমস্যার সৃষ্টি করবে। এছাড়াও দ্বীপ অঞ্চল হওয়ায় এ উপজেলায় একটি স্পীড বোট সরবরাহ করা জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন।

৯। আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্যঃ

জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কুতুবদিয়া থানায় পূর্বের সেটাপ অনুযায়ী জনবল বিদ্যমান। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রচুর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সীমিত জনবল দিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপের তথা উপজেলার বিশাল জনসংখ্যার আইন-শৃংখলা রক্ষা করা বর্তমান সেট-আপে সম্ভবপর নয়। এক্ষেত্রে ডাকাতি ও চুরির অপরাধ প্রবণ এলাকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ধূরং বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা অতীব জরুরী।

১০। বেড়ি বাঁধ সংক্রান্ত তথ্যঃ

বঙ্গৌপসাগরের উত্তাল তরঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বেড়ি বাঁধের ভাঙ্গনের কারণে বেড়ি বাঁধের জরুরী সংস্করণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ি বাঁধ দ্রুত সংস্কার করা না হলে আসন্ন বর্ষার জোয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

১১। বন বিভাগ সংক্রান্তঃ

কুতুবদিয়া একটি দ্বীপ এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে রেহাই পেতে বনাঞ্চলের কোন বিকল্প নেই।এ উপজেলার বন বিভাগের সরকারী জায়গা, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণাধীন সড়ক সমূহের উভয় পার্শ্বে পরিবেশবান্ধব বিভন্ন গাছ রোপনের মাধ্যমে বনায়ন সৃষ্টি করা যেতে পারে।

Our News Reporter:

      Avng` Kwei eveyj,

     KzZzew`qv (KK&mevRvi),

     †gvev-01818921724

Email:   ahmadkbr4@gmail.com

Click here for the Latest News

News

কুতুবদিয়ার কৃতি সন্তানের আন্তর্জাতিক সম্মাননা লাভ

27/09/2012 00:16
বাংলাদেশী অধ্যাপকের আন্তর্জাতিক সম্মাননা সম্প্রতি নিউজার্সির মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী ডীন অধ্যাপক গোলাম এম মাতবর ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’র (AIBS) ২০১২-২০১৬ মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ডঃ মাতবর ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল মেয়াদে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব...

ভয়াল ২৯ এপ্রিলের শোকস্মৃতি

30/04/2012 10:36
আজ সেই ভয়াল ২৯শে এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে আমার জন্মস্থান কুতুবদিয়া এবং বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়,সন্তান হারায় মা-বাবাকে,স্ত্রী হারায় স্বামী,স্বামী হারায় স্ত্রী, দেশ হারায় হাজারো মেধা,শুধুই হাহাকার-আর্তনাদ ছিল এই দিনের আকাশে-বাতাসে সর্বত্র। এভাবে রচিত হয় এক ভয়ংকর অধ্যায়। শ্রদ্ধ্যার সাথে স্মরণ করছি সেই হারিয়ে যাওয়া...

আজ ২৯ এপ্রিল ইতিহাসের ভয়াল প্রলয়ংকরী দিন

29/04/2012 13:14
  আজাদী ডেস্ক ॥ আজ ২৯ এপ্রিল ইতিহাসের ভয়াল প্রলয়ংকরী দিন। আজ থেকে ২১বছর আগে ১৯৯১ সালের এ দিনে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। রাতের অন্ধকারে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল উপকূলীয় এলাকা। দেশের অন্যান্য এলাকার মত পাহাড়-সাগরবেষ্টিত চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা সেদিন ঘূর্ণিঝড়ের...
All articles

Last Updated :13 October,2012



News

Join GHAASHFUL, Kutubdia Forum

23/05/2009 01:17
To join with us,Please download the Form, Read Thoroughly and Fill up it. After that, send it to the addresses given below...   Email:...

River Erosion in Kutubdia,Bangladesh.

23/05/2009 01:09
To Download The Article Click Below on the link...   River Erosion In Bangladesh.pdf (158,7 kB)

Pictures Of Kutubdia Affected By Cyclone

23/05/2009 00:59
Picture of  Kutubdia from Different Area Affected by Cyclone SIDR Picture of ...

British Royal Navy at Kutubdia.

23/05/2009 00:30
  Cyclone proof house has been constructed by British Royal Navy at Kutubdia. As the symbol of solidarity to the cyclone prone coastal people ...

Internet Services at Kutubdia

23/05/2009 00:15
COAST trust, is a NGO working in the coastal belt of Bangladesh to promote the livelihood of the coastal people  providing the basic needs like education, information technology and other...

Eid Vacation

07/12/2008 13:31
I am leaving chittagong today to remain closer with my family in Kutubdia.Thanks for visiting.........Eid Mubarak
All articles

Poll

Have You Ever Visited Kutubdia? Which One Do You Prefer?

Total votes: 582

Mishu Kutubi's Facebook profile

Add to Google Reader or Homepage

Space For Ads

Contact Admin

01740921662

Space For Ads

Contact Admin

01740921662

Site Fights Spirit Counter

The Site Is Designed & Sponsored By Kamrul Islam Mishu Kutubi